ইতিউতি হাঁটাহাঁটি
বইটা যখন পড়া শুরু করলাম মনে মনে ভাবছিলাম এটা কি কোন ব্রোসিয়ার নাকি?এখান থেকে ওখানে গেলাম,রাতে ঘুমালাম আর এভাবেই শেষ হয়ে গেল "কলোম্ব থেকে এল্লা"।০
"ওলন্দাজের শহরে" পড়ার পর একঘেমী লাগছিলো। এবার ভীতরে কিছুটা সংকা কাজ করলো। পুরো বইটা এমন একঘেয়েমীতে ভরা নয়তো?০এবার নড়েচড়ে বসলাম। কারণ গল্পটা "সীমানা ছাড়াতে চাই"। অন্নপুর্ণা ব্যাস ক্যাম্প এর খুটিনাটি তুলে ধরা হয়েছে। এবার প্রথম মনে হলো আমিও লেখক ফুয়াদ বীন উমর এর সাথে অন্নপুর্ণা্র দিকে হেটে যাচ্ছি। লেখকের অক্সিজেন কমে যাওয়া, মাথা ঝিম ঝিম করা ঘটনা আমাকেও মনে করে দিল ২০২০ এ কেওক্রডাং ট্রেকিং করার কথা। দার্জিলিং পাড়া থেকে ভরপেট খেয়ে হাটা শুরু করেছি ।আর মাত্র ১০ মিনিট পর কেওক্রাডাং চূড়া। হাটতে হাটতে হটাত চোখে হাজার তাড়া দেখতে লাগলাম সাথে মনে হচ্ছে মাথার ভীতরেই ঝি ঝি পোকা অনবরত দেকে চলছে। সেলাইন খেয়ে অল্প কিছু সময় বিশ্রাম করে পুনরায় শুরু করি।৫
খরচের ভয় নিয়ে যে দেশে এসেছিলাম সেখানে থাকা খাওয়া নিয়ে খরচ হলো মাত্র ছয়হাজার চারশত টাকা-"অবিশ্বাস্য মালদ্বীপ" পড়ে এই সুক্ষ বার্তাটি লেখকমাথায় ঢুকিয়ে দেয়।২.৫
কাস্মির নিয়ে মুভী দেখা হলেও কখনো বই পড়া হয় নি। "ভূসর্গ ভংকর সুন্দর" পড়ার পর সত্যজিৎ রায় এর লেখা বইটি পড়ার তীব্র আগ্রহ জন্মায়।৫
বাঙ্গালির প্রথম নোবেল জয়ী অর্মত্য সেন সম্পর্কে সংক্ষেপে জানা যায়"নোবেল জয়ীর সাইকেল" অংশটা পড়ে। অর্থাৎ এক সাইকেলেই সুইডেন ভ্রমণ গল্প শেষ।২
"একই ফ্রেমে দুই শ্ত্রু"পৌরানিক গল্প দিয়ে মিশর ভ্রমণ শেষ।০
কিছুটা তথ্য নির্ভর লেগেছে "চলতি পথের বিড়ম্বনা"। সতর্ক না হলে পৃথিবীর সব জায়গায় প্রতারনার স্বিকার হতে হয়।2
আনলিমিটেড খাবার,ট্রেকিং আর নোনা জ্বলের স্বাদ নেওয়ার জন্য সময় সুযোগ পেলে "স্বপ্নিল ক্রাবি" যাওয়ার ইচ্ছা।2
২য় বার কল্পনার চোখে সহযোদ্ধা কে নিয়ে তুরস্কের অলিগলিতে ঘুরছি। আর নানা রকম কাবাব এর স্বাদ নিচ্ছি। "অনন্য ইস্তাম্বুল" এই অনুভুতিটা দিয়েছে।৪
চারিদিকে সবুজ ঘাস,স্বচ্ছ পানি, পাহাড়। আমি ছুটে ব���ড়াচ্ছি। পিছন পিছন আমার সহযোদ্ধা।ধেড়ে গলায় গাচ্ছি ~চলো যাই চলে যাই দূর বহুদু্র~~~~~~~বাস্তবে ফেরত আসি "বার্ণিল স্টকহোম" পড়া শেষ করে।৫
পতাকায় শুধু সাদা আর সবুজের পার্থ্যক্য হলেও আর কোন কিছুতেই কোন মিল নেই। অতিথিপরায়ন হলেও স্বভাবে আমরা নোংরা জাতীই হিসেবে নিজেকে পরীচয় দিতে গর্বোবোধ করি।"নিঁখুত মানুষের দেশে" পার্থ্যক্যটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখার মতো।



Comments
Post a Comment